ফোর জি - র ফাঁদে ১০ লক্ষ টাকা উধাও : অভিযোগ দায়ের পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম সেলে

26th September 2020 2:31 pm হুগলী
ফোর জি - র ফাঁদে ১০ লক্ষ টাকা উধাও : অভিযোগ দায়ের পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম সেলে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  ব্যান্ডেল বালির মোরের বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ নিজের মোবাইলের সিম 4G তে পরিবর্তন করতে গিয়ে খোয়া গেল ১০ লক্ষ টাকা।তিনি বুঝতে পারলেন দু'মাস পর যে প্রতারনার শিকার হয়েছেন। গত ২২ জুলাই সঞ্জয় বাবুর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাকে বলা হয় তাঁর সিম কার্ড টি 4G তে পরিবর্তন করতে হবে।এর জন্য বিকল্প কোনো মোবাইল নম্বর থাকলে পাঠাতে বলে।সঞ্জয় বাবু তাঁর স্ত্রীর মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন।কিছুক্ষন পর তাঁর মোবাইল 4G এ্যাক্টিভেশানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসে ICICI ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে, জিজ্ঞাসা করে ICICI ব্যাঙ্কের কোন এ্যাকাউন্ট বন্ধ আছে কিনা।সঞ্জয় বাবু বলেন,ব্যাঙ্কে গিয়ে খবর নিয়ে বলতে পারবেন।দুদিন পেরিয়ে গেলেও মোবাইল সিম এ্যাকটিভ না হওয়ায় সঞ্জয় বাবু এলাকার একটি দোকান থেকে আবার মোবাইলটি চালু করেন।প্রায় দুমাস পর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়া ICICI ব্যাঙ্কে যান সঞ্জয় ঘোষ।সেভিংস এ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক করে দেখেন কোনো টাকা নেই।সেখান থেকে ১০ লাখ টাকা উধাও।কি ভাবে তাঁর টাকা এ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হল,ব্যাঙ্ক জানায় অন লাইন ট্রানজাকশনের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে।সঞ্জয় বাবুর সন্দেহ দু মাস আগের মোবাইলে আসা ফোন,সিম 4G করার গল্পেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিলো।চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতারিত।সঞ্জয় বাবুর মোবাইলে ব্যাঙ্কের অ্যাপ ছিলো।ঘটনার দিন বার বার ফোন করে প্রতারক।কেটে দিলেও ফোন কল অটোমেটিক রিসিভ হয়ে যায়।সঞ্জয় বাবুর অনুমান তার মোবাইল অপারেট করে এ্যাকাউন্ট ফাঁকা করেছে প্রতারক।।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।